এ বৈশাখী উৎসবে ১১টি ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করেন সাবেক উপমন্ত্রী এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠণীক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক বড়বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী মোল্লা,লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ,কে,এম মমিনুল হক, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বড়বাড়ী কলেজের প্রভাষক এবিএম ফারুক সিদ্দিকী, সদর উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ লিমন, পঞ্চগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন মাস্টার প্রমুখ।
তাসলিমা
1:20 AM
তাসলিমার ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে বড়বাড়ীতে হাজারো মানুষের ঢল
‘‘এসো মিলি মুক্তির উৎসবে’’
বাংলা নর্ববর্ষ উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিলো বৈশাখী শোভাযাত্রা, পান্তা পরিবেশন, ঘোড়া দৌড়, মোরগ ধরা, উটকুন দিয়ে দড়ি বুনুন, ঝাকি জাল বনুন, বাঁশে উঠা প্রতিযোগিতা, লাঠি খেলা, হা ডু-ডু, বাটুল ছোড়া, চকোরচাল খেলা ও ঘুড়ির মেলাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রবিবার বৈশাখের তৃতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় উৎসবের মূল আকর্ষণ ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতা ফাইনাল। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অশ্বাহোরিরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
শহীদ আবুল কাশেম মহা বিদ্যালয় মাঠে তিন দিন ব্যাপী এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নওগাঁসহ অনান্য জেলার ৫১টি ঘোড়া নিয়ে ঘোড়সওয়ারী বিভিন্ন গ্র“পে অংশগ্রহন করেন। এতে প্রথম হয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার চুমুর আলী, ২য় হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা হান্নান পাগলা, ৩য় নওগাঁ জেলার ধামুর হাট উপজেলার আলোচিত তসলিমা বেগম (১১)।
বাংলাদেশের জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের এগার বছর বয়সের তাসলিমা বেগম (১১) প্রতিবেশী এবং সহপাঠিদের মধ্যে ‘ঘোড়াওয়ালি’ নামে পরিচিত। যে দেশে
পনের বছর বয়স হবার আগেই বেশির ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় সেখানে তাসলিমা বেগম (১১) আরও
অন্তত পাঁচ বছর ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার আশা রাখে। দেশের গ্রামীণ
সমাজে যেখানে ‘বড়’ মেয়েদের মাঠে ময়দানের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে বিস্তর
আপত্তি ওঠে, সেখানে ঘোড়দৌড় তো অকল্পনীয় ব্যাপার।
এ দিন তাসলিমা বেগম (১১)কে একনজর দেখার জন্য লালমনিরহাট সদর উপজেলার শহীদ আবুল কাশেম মহা বিদ্যালয়ের মাঠে হাজার হাজার নারী পুরুষ, শিশু-কিশোর উপস্থিত ছিলেন।


