Today Blog

আজকের সংবাদ ,আমরা অবহেলিত মানুষের কথা বলি -টুডে ব্লগ....

Breaking News

Monday, April 24, 2017

11:17 PM

‘কৃষকের কান্না’

চৈত্রের রাত হঠাৎ বজ্রপাত
ভেঙ্গে গেল কৃষকের ঘুম
চারিদিকে কোলাহল বন্যার জল
ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ধুম।
আকাশ চরম ক্ষুব্ধ
সূর্য মেঘে অবরুদ্ধ
প্রকৃতির খেয়াল চৈত্রে অনাসৃষ্টি
নীলাম্বরে অভিমানে ভারী বৃষ্টি।
পথে মাঠে পাহাড় পর্বতে
নদী-নালা খাল-বিল সমতল
ভরে গেল সব বন্যার প্রবল জল
ডুবে গেল কৃষকের সোনালী ফসল।
কৃষকের আজ মাথায় হাত
চোখের কাছে তার বাঁধ ভাঙ্গা সড়ক
পানির নিচে ডুবে আছে ফসলের মাঠ
আগামি দিন তার কঠিন যন্ত্রণা নরক।
এমন দুসময়ে কে এসে দাঁড়াবে পাশে
কি করুণা পাবে সে রাস্ট্রের কাছে
এ অপ্রত্যাশিত আঘাত তার পরিবার
কেমন করে সইবে অনাহার মরক।


মঞ্জুরুল হক তারা
5:21 PM

হাওরে ক্ষতির পরিসংখ্যান প্রচারে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে হাওর প্লাবিত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান প্রচার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই দুই মন্ত্রী বলেন, ‘‘বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী হাওরের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রী ও সচিবদের দেওয়া পরিসংখ্যান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বলছেন হাওরে বন্যায় এত মাছ মরেছে, এত ধান নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এই পরিমাণ কে মেপেছে? কিসের ভিত্তিতে এ ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হলো?’ এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বেশ উত্তেজিত দেখা গেছে।’’
উল্লেখ্য, গত রবিবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান বলেন, ‘হাওরে বন্যায় মোট এক হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়েছে এবং তিন হাজার ৮৪৪টি হাঁস মারা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, ‘বন্যায় দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। যেখান থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যেত। তবে এতে আমাদের খাদ্য ঘাটতি হবে না।কারণ দেশের অন্য অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন বেশি হয়েছে। এছাড়া আউশ এবং আমন চাষে আমরা কৃষকদের প্রণোদনা দেবো। ফলে দেশে খাদ্যে কোনও ঘাটতি থাকবে না।’
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, ‘হাওর এলাকায় বিদ্যমান বাঁধগুলো ষাটের দশকের পরিকল্পনায় করা। এবারের বন্যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয়েছে। এবারের ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নেবো বাঁধগুলো কী পরিমাণ উঁচু করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পগুলো উপজেলা পর্যায় থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। যা বাস্তবায়ন করবে উপজেলা প্রশাসন।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বন্যকবলিত এলাকার মানুষদের সহায়তায় সোমবার থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। পরবর্তী একশ দিনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে মাসে ত্রিশ কেজি চাল এবং নগদ ৫শ’ টাকা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধা পাবেন তিন লাখ ত্রিশ হাজার পরিবার। তবে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ কর্মসূচিতে সরকারের ৩০/৩৫ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তবে যারা রিলিফ নেবেন না তাদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে চাল ও ১০ টাকা কেজি দরে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি অব্যাহত থাকবে।’

উৎসঃ   বাংলাট্রিবিউন

Sunday, April 23, 2017

4:36 PM

১৩টি সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন সাবেক উপমন্ত্রী-দুলু।

আলোকিত লালমনিরহাট আমাদের অঙ্গীকার এই শ্লোগান কে ধারন করে সচেতনতা মুলক সাইকেল র‍্যালীর শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলোকিত লালমনিরহাটের রূপকার অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু ।
 ১৩টি সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে লক্ষে  মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে‘আলোকিত লালমনিরহাট’ নামের এই সংগঠন। রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংগঠনের মুখপাত্র ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু। এরপর সেখানে জাতীয় সংগীত ও শপথ বাক্য পাঠ করে প্রায় দেড় হাজার বাই সাইকেল নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন তারা।
 র‌্যালিটি রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক হয়ে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ শেষে ঐতিহ্যবাহী সিন্দুর মতির দিঘীতে এসে শেষ হয়। 
আয়োজকরা জানান, বর্তমানে লালমনিরহাটে সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দেয়ার কারণে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।


আলোকিত লালমনিরহাটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এ আয়োজন। মাসব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে। এতে মানুষের মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সামাজিক অপরাধ সমুহ ঃ
১) বাল্য বিবাহ মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
২) বহুবিবাহ মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৩) যৌতুক মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৪) মাদকমুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৫) দুর্নীতি মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৬) এসিড সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৭) সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৮) নারী নির্যাতন মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৯) জুয়া মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১০) নকল মুক্ত শিক্ষা মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১১) পতিতাবৃত্তি মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১২) ভিক্ষাবৃত্তি মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১৩) জঙ্গীবাদ মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১৪) পলিথিন মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট

Monday, April 17, 2017

1:20 AM

তাসলিমার ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে বড়বাড়ীতে হাজারো মানুষের ঢল



‘‘এসো মিলি মুক্তির উৎসবে’’

 এই শ্লোগানে লালমনিরহাটের  বড়বাড়ীতে  শেষ হয়েছে তিনদিন ব্যাপি বৈশাখী উৎসব। এই উৎসবকে  গ্রামীণ জনপদের হারিয়ে যাওয়া নানা রকম খেলা দেখতে  ঢল নেমেছে হাজারো জনতার।
বাংলা নর্ববর্ষ উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিলো বৈশাখী শোভাযাত্রা, পান্তা পরিবেশন, ঘোড়া দৌড়, মোরগ ধরা, উটকুন দিয়ে দড়ি বুনুন, ঝাকি জাল বনুন, বাঁশে উঠা প্রতিযোগিতা, লাঠি খেলা, হা ডু-ডু, বাটুল ছোড়া, চকোরচাল খেলা ও ঘুড়ির মেলাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রবিবার বৈশাখের তৃতীয়  দিনে অনুষ্ঠিত হয় উৎসবের মূল আকর্ষণ ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতা ফাইনাল। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অশ্বাহোরিরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
শহীদ আবুল কাশেম মহা বিদ্যালয় মাঠে তিন দিন ব্যাপী এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নওগাঁসহ অনান্য জেলার ৫১টি ঘোড়া নিয়ে ঘোড়সওয়ারী বিভিন্ন গ্র“পে অংশগ্রহন করেন। এতে প্রথম হয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার চুমুর আলী, ২য় হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা হান্নান পাগলা, ৩য় নওগাঁ জেলার ধামুর হাট উপজেলার আলোচিত  তসলিমা বেগম (১১)।
বাংলাদেশের  জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের এগার বছর বয়সের তাসলিমা বেগম (১১) প্রতিবেশী এবং সহপাঠিদের মধ্যে ‘ঘোড়াওয়ালি’ নামে পরিচিত। যে দেশে পনের বছর বয়স হবার আগেই বেশির ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় সেখানে তাসলিমা বেগম (১১) আরও অন্তত পাঁচ বছর ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার আশা রাখে। দেশের গ্রামীণ সমাজে যেখানে ‘বড়’ মেয়েদের মাঠে ময়দানের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে বিস্তর আপত্তি ওঠে, সেখানে ঘোড়দৌড় তো অকল্পনীয় ব্যাপার।

এ দিন তাসলিমা বেগম (১১)কে একনজর দেখার জন্য লালমনিরহাট  সদর উপজেলার শহীদ আবুল কাশেম মহা বিদ্যালয়ের মাঠে হাজার হাজার নারী পুরুষ, শিশু-কিশোর উপস্থিত ছিলেন।
এ বৈশাখী উৎসবে ১১টি ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করেন সাবেক উপমন্ত্রী এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠণীক সম্পাদক  অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুএ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক বড়বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী মোল্লা,লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ,কে,এম মমিনুল হক, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বড়বাড়ী কলেজের প্রভাষক এবিএম ফারুক সিদ্দিকী, সদর উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ লিমন, পঞ্চগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন মাস্টার প্রমুখ।

Sunday, April 16, 2017

12:52 AM

মা‌য়ের পা ভে‌ঙ্গে দিল পাষণ্ড ছে‌লে

এক পাষণ্ড ছে‌লে তার গর্ভধারিণী মা‌কে বেধরক মার‌পিট ক‌রে ক্ষান্ত হয়‌নি। অব‌শে‌ষে একপা ভে‌ঙ্গে দি‌য়ে বা‌ড়ি থে‌কে তা‌ড়ি‌য়ে দি‌য়ে‌ছে। ছে‌লের হা‌তে নির্যা‌তিত মা এখন হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি র‌য়ে‌ছে।
ঘটনা‌টি ঘ‌টে‌ছে গত বৃহষ্প‌তিবার রাত ১১টায় লালম‌নিরহা‌ট সদর উপ‌জেলার মোগলহাট ইউ‌নিয়‌নের কোদাল খাতা গ্রা‌মে।

জানাগেছে , কোদাল খাতা গ্রা‌মের আ‌মির উ‌দ্দি‌নের স্ত্রী আয়শা বেগম (৫৫) কে তার পাষণ্ড ছে‌লে আশরাফুল মিয়া (৩৫) পা‌রিবারিক তুচ্ছ ঘটনা‌কে কেন্দ্র ক‌রে প্রায় সময় মারধর কর‌তো।
কিন্তু ১৩ এ‌প্রিল রাতে পা‌রিবা‌রিক বিষয় নি‌য়ে মা‌য়ের সা‌থে কথার কম‌বেশি হওয়ায় পাষণ্ড আশরাফুল  বাশের লা‌ঠি দি‌য়ে আয়শা বেগম‌কে মারধর ক‌রে তার বাম পা ভে‌ঙ্গে দি‌য়ে থালা, বাসন, কাপড়সহ বাড়ি থে‌কে তা‌ড়ি‌য়ে দি‌য়ে‌ছেন।
প‌রে এলাকাবাসী অসহায় মা‌কে উদ্ধার ক‌রে লালম‌নিরহাট সদর হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি ক‌রেন। তি‌নি এখন হাসপাতা‌লে চিকিৎসাধীন র‌য়ে‌ছেন।

Saturday, April 15, 2017

2:36 AM

লালমনিরহাটে পয়লা বৈশাখে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

লালমনিরহাটে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবারের মতো এবারেও পয়লা বৈশাখে তিন দিনব্যাপী ঘোড়দৌড়সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু
রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের পাশে আবস্থিত বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখার জন্য কলেজ মাঠের চারদিকে জড়ো হয়েছিলেন লাখো দর্শনার্থী। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও ভীড় জমিয়েছিলেন ঘোড়া দৌড় দেখার জন্য। টেলিভিশনে ঘোড়া দৌড় দেখে অভ্যস্ত শিশুরা বাস্তবে তা দেখার জন্য উৎসুক দর্শনার্থীদের সাথে মিশে একাকার হয়েছিল। গৃহিনীরাও বসে ছিলেন না ঘরে। তারাও এসেছিলেন ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে। কলেজের বারান্দা, ছাদে ও গাছের মগডালে ছিল না কোন জায়গা। মাঠের চারপাশে সবখানে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। আনন্দ উল্লাসে উদ্দোলিত হয়ে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করে তৃপ্তি লাভের কথা জানান উৎসুক দর্শনার্থীরা। শুধু লালমনিরহাট জেলার পাড়া, মহল্লা, গ্রাম, ইউনিয়ন থেকে নয় পার্শ্ববর্তী জেলা কুড়িগ্রাম, রংপুর থেকে দর্শনার্থীরা বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে এসেছিলেন ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করার জন্য।
তবে এবারের সেরা আকর্ষণ দেশ সেরা ও একমাত্র নারী শাওয়ারী তসলিমা ঘোড়া নিয়ে শনিবার এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন বলেও আয়োজকরা জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও তিন দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় ঘোড় দৌড়ের পাশাপাশি মোরগ ধরা, চেগুপেন্টি, হাডুডু, চকোর চাল, উটকুন দিয়ে দড়ি বুনন, জাল বুনন, বাটুল খেলা, গুড্ডির মেলা, লাঠি খেলা, পিচ্ছিল বাঁশে উঠাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মমিনুল হক, শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যাক্ষ গোলাম মর্তুজা মিঠু, বড়বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী মোল্লা, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাষ্টার প্রমুখ উপস্থিথ ছিলেন।

Friday, April 14, 2017

3:38 PM

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে লালমনিরহাটে বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ পালিত হচ্ছে

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে লালমনিরহাটের বড়বাড়িতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ পালিত হচ্ছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ৮টায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন পরিষদ বড়বাড়ী,লালমনিরহাট এর আয়োজনে বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপি সভাপতি আসাদুল হাবীব দুলূ এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যাণ একেএম মমিনুল হক,  শোভাযাত্রাটি বড়বাড়ীড় প্রধান সড়ক হয়ে বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়  মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পান্তা পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বাংলা নববর্ষ উদযাপন পরিষদের  আয়োজনে  দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হয়। কর্মসুচির মধ্যে আছে ঘোড়া খেলা, ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগীতা,বাঁশেঊঠা সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।