Today Blog

আজকের সংবাদ ,আমরা অবহেলিত মানুষের কথা বলি -টুডে ব্লগ....

Breaking News

Monday, April 24, 2017

11:17 PM

‘কৃষকের কান্না’

চৈত্রের রাত হঠাৎ বজ্রপাত
ভেঙ্গে গেল কৃষকের ঘুম
চারিদিকে কোলাহল বন্যার জল
ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ধুম।
আকাশ চরম ক্ষুব্ধ
সূর্য মেঘে অবরুদ্ধ
প্রকৃতির খেয়াল চৈত্রে অনাসৃষ্টি
নীলাম্বরে অভিমানে ভারী বৃষ্টি।
পথে মাঠে পাহাড় পর্বতে
নদী-নালা খাল-বিল সমতল
ভরে গেল সব বন্যার প্রবল জল
ডুবে গেল কৃষকের সোনালী ফসল।
কৃষকের আজ মাথায় হাত
চোখের কাছে তার বাঁধ ভাঙ্গা সড়ক
পানির নিচে ডুবে আছে ফসলের মাঠ
আগামি দিন তার কঠিন যন্ত্রণা নরক।
এমন দুসময়ে কে এসে দাঁড়াবে পাশে
কি করুণা পাবে সে রাস্ট্রের কাছে
এ অপ্রত্যাশিত আঘাত তার পরিবার
কেমন করে সইবে অনাহার মরক।


মঞ্জুরুল হক তারা
5:21 PM

হাওরে ক্ষতির পরিসংখ্যান প্রচারে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে হাওর প্লাবিত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান প্রচার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের এক অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই দুই মন্ত্রী বলেন, ‘‘বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী হাওরের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রী ও সচিবদের দেওয়া পরিসংখ্যান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বলছেন হাওরে বন্যায় এত মাছ মরেছে, এত ধান নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এই পরিমাণ কে মেপেছে? কিসের ভিত্তিতে এ ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হলো?’ এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বেশ উত্তেজিত দেখা গেছে।’’
উল্লেখ্য, গত রবিবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান বলেন, ‘হাওরে বন্যায় মোট এক হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়েছে এবং তিন হাজার ৮৪৪টি হাঁস মারা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, ‘বন্যায় দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। যেখান থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যেত। তবে এতে আমাদের খাদ্য ঘাটতি হবে না।কারণ দেশের অন্য অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন বেশি হয়েছে। এছাড়া আউশ এবং আমন চাষে আমরা কৃষকদের প্রণোদনা দেবো। ফলে দেশে খাদ্যে কোনও ঘাটতি থাকবে না।’
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, ‘হাওর এলাকায় বিদ্যমান বাঁধগুলো ষাটের দশকের পরিকল্পনায় করা। এবারের বন্যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয়েছে। এবারের ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নেবো বাঁধগুলো কী পরিমাণ উঁচু করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পগুলো উপজেলা পর্যায় থেকে বাস্তবায়ন করা হবে। যা বাস্তবায়ন করবে উপজেলা প্রশাসন।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বন্যকবলিত এলাকার মানুষদের সহায়তায় সোমবার থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। পরবর্তী একশ দিনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে মাসে ত্রিশ কেজি চাল এবং নগদ ৫শ’ টাকা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধা পাবেন তিন লাখ ত্রিশ হাজার পরিবার। তবে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ কর্মসূচিতে সরকারের ৩০/৩৫ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তবে যারা রিলিফ নেবেন না তাদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে চাল ও ১০ টাকা কেজি দরে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি অব্যাহত থাকবে।’

উৎসঃ   বাংলাট্রিবিউন

Sunday, April 23, 2017

4:36 PM

১৩টি সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন সাবেক উপমন্ত্রী-দুলু।

আলোকিত লালমনিরহাট আমাদের অঙ্গীকার এই শ্লোগান কে ধারন করে সচেতনতা মুলক সাইকেল র‍্যালীর শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলোকিত লালমনিরহাটের রূপকার অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু ।
 ১৩টি সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে লক্ষে  মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে‘আলোকিত লালমনিরহাট’ নামের এই সংগঠন। রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংগঠনের মুখপাত্র ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু। এরপর সেখানে জাতীয় সংগীত ও শপথ বাক্য পাঠ করে প্রায় দেড় হাজার বাই সাইকেল নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন তারা।
 র‌্যালিটি রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক হয়ে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ শেষে ঐতিহ্যবাহী সিন্দুর মতির দিঘীতে এসে শেষ হয়। 
আয়োজকরা জানান, বর্তমানে লালমনিরহাটে সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দেয়ার কারণে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।


আলোকিত লালমনিরহাটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এ আয়োজন। মাসব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে। এতে মানুষের মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সামাজিক অপরাধ সমুহ ঃ
১) বাল্য বিবাহ মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
২) বহুবিবাহ মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৩) যৌতুক মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৪) মাদকমুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৫) দুর্নীতি মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৬) এসিড সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৭) সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৮) নারী নির্যাতন মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
৯) জুয়া মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১০) নকল মুক্ত শিক্ষা মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১১) পতিতাবৃত্তি মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১২) ভিক্ষাবৃত্তি মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১৩) জঙ্গীবাদ মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট
১৪) পলিথিন মুক্ত সমাজ ও লালমনিরহাট

Monday, April 17, 2017

1:20 AM

তাসলিমার ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে বড়বাড়ীতে হাজারো মানুষের ঢল



‘‘এসো মিলি মুক্তির উৎসবে’’

 এই শ্লোগানে লালমনিরহাটের  বড়বাড়ীতে  শেষ হয়েছে তিনদিন ব্যাপি বৈশাখী উৎসব। এই উৎসবকে  গ্রামীণ জনপদের হারিয়ে যাওয়া নানা রকম খেলা দেখতে  ঢল নেমেছে হাজারো জনতার।
বাংলা নর্ববর্ষ উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিলো বৈশাখী শোভাযাত্রা, পান্তা পরিবেশন, ঘোড়া দৌড়, মোরগ ধরা, উটকুন দিয়ে দড়ি বুনুন, ঝাকি জাল বনুন, বাঁশে উঠা প্রতিযোগিতা, লাঠি খেলা, হা ডু-ডু, বাটুল ছোড়া, চকোরচাল খেলা ও ঘুড়ির মেলাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রবিবার বৈশাখের তৃতীয়  দিনে অনুষ্ঠিত হয় উৎসবের মূল আকর্ষণ ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতা ফাইনাল। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অশ্বাহোরিরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
শহীদ আবুল কাশেম মহা বিদ্যালয় মাঠে তিন দিন ব্যাপী এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নওগাঁসহ অনান্য জেলার ৫১টি ঘোড়া নিয়ে ঘোড়সওয়ারী বিভিন্ন গ্র“পে অংশগ্রহন করেন। এতে প্রথম হয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার চুমুর আলী, ২য় হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা হান্নান পাগলা, ৩য় নওগাঁ জেলার ধামুর হাট উপজেলার আলোচিত  তসলিমা বেগম (১১)।
বাংলাদেশের  জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের এগার বছর বয়সের তাসলিমা বেগম (১১) প্রতিবেশী এবং সহপাঠিদের মধ্যে ‘ঘোড়াওয়ালি’ নামে পরিচিত। যে দেশে পনের বছর বয়স হবার আগেই বেশির ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় সেখানে তাসলিমা বেগম (১১) আরও অন্তত পাঁচ বছর ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার আশা রাখে। দেশের গ্রামীণ সমাজে যেখানে ‘বড়’ মেয়েদের মাঠে ময়দানের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে বিস্তর আপত্তি ওঠে, সেখানে ঘোড়দৌড় তো অকল্পনীয় ব্যাপার।

এ দিন তাসলিমা বেগম (১১)কে একনজর দেখার জন্য লালমনিরহাট  সদর উপজেলার শহীদ আবুল কাশেম মহা বিদ্যালয়ের মাঠে হাজার হাজার নারী পুরুষ, শিশু-কিশোর উপস্থিত ছিলেন।
এ বৈশাখী উৎসবে ১১টি ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করেন সাবেক উপমন্ত্রী এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠণীক সম্পাদক  অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুএ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক বড়বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী মোল্লা,লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ,কে,এম মমিনুল হক, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বড়বাড়ী কলেজের প্রভাষক এবিএম ফারুক সিদ্দিকী, সদর উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ লিমন, পঞ্চগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন মাস্টার প্রমুখ।

Sunday, April 16, 2017

12:52 AM

মা‌য়ের পা ভে‌ঙ্গে দিল পাষণ্ড ছে‌লে

এক পাষণ্ড ছে‌লে তার গর্ভধারিণী মা‌কে বেধরক মার‌পিট ক‌রে ক্ষান্ত হয়‌নি। অব‌শে‌ষে একপা ভে‌ঙ্গে দি‌য়ে বা‌ড়ি থে‌কে তা‌ড়ি‌য়ে দি‌য়ে‌ছে। ছে‌লের হা‌তে নির্যা‌তিত মা এখন হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি র‌য়ে‌ছে।
ঘটনা‌টি ঘ‌টে‌ছে গত বৃহষ্প‌তিবার রাত ১১টায় লালম‌নিরহা‌ট সদর উপ‌জেলার মোগলহাট ইউ‌নিয়‌নের কোদাল খাতা গ্রা‌মে।

জানাগেছে , কোদাল খাতা গ্রা‌মের আ‌মির উ‌দ্দি‌নের স্ত্রী আয়শা বেগম (৫৫) কে তার পাষণ্ড ছে‌লে আশরাফুল মিয়া (৩৫) পা‌রিবারিক তুচ্ছ ঘটনা‌কে কেন্দ্র ক‌রে প্রায় সময় মারধর কর‌তো।
কিন্তু ১৩ এ‌প্রিল রাতে পা‌রিবা‌রিক বিষয় নি‌য়ে মা‌য়ের সা‌থে কথার কম‌বেশি হওয়ায় পাষণ্ড আশরাফুল  বাশের লা‌ঠি দি‌য়ে আয়শা বেগম‌কে মারধর ক‌রে তার বাম পা ভে‌ঙ্গে দি‌য়ে থালা, বাসন, কাপড়সহ বাড়ি থে‌কে তা‌ড়ি‌য়ে দি‌য়ে‌ছেন।
প‌রে এলাকাবাসী অসহায় মা‌কে উদ্ধার ক‌রে লালম‌নিরহাট সদর হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি ক‌রেন। তি‌নি এখন হাসপাতা‌লে চিকিৎসাধীন র‌য়ে‌ছেন।

Saturday, April 15, 2017

2:36 AM

লালমনিরহাটে পয়লা বৈশাখে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

লালমনিরহাটে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবারের মতো এবারেও পয়লা বৈশাখে তিন দিনব্যাপী ঘোড়দৌড়সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু
রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের পাশে আবস্থিত বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখার জন্য কলেজ মাঠের চারদিকে জড়ো হয়েছিলেন লাখো দর্শনার্থী। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও ভীড় জমিয়েছিলেন ঘোড়া দৌড় দেখার জন্য। টেলিভিশনে ঘোড়া দৌড় দেখে অভ্যস্ত শিশুরা বাস্তবে তা দেখার জন্য উৎসুক দর্শনার্থীদের সাথে মিশে একাকার হয়েছিল। গৃহিনীরাও বসে ছিলেন না ঘরে। তারাও এসেছিলেন ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে। কলেজের বারান্দা, ছাদে ও গাছের মগডালে ছিল না কোন জায়গা। মাঠের চারপাশে সবখানে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। আনন্দ উল্লাসে উদ্দোলিত হয়ে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করে তৃপ্তি লাভের কথা জানান উৎসুক দর্শনার্থীরা। শুধু লালমনিরহাট জেলার পাড়া, মহল্লা, গ্রাম, ইউনিয়ন থেকে নয় পার্শ্ববর্তী জেলা কুড়িগ্রাম, রংপুর থেকে দর্শনার্থীরা বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে এসেছিলেন ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করার জন্য।
তবে এবারের সেরা আকর্ষণ দেশ সেরা ও একমাত্র নারী শাওয়ারী তসলিমা ঘোড়া নিয়ে শনিবার এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন বলেও আয়োজকরা জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও তিন দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় ঘোড় দৌড়ের পাশাপাশি মোরগ ধরা, চেগুপেন্টি, হাডুডু, চকোর চাল, উটকুন দিয়ে দড়ি বুনন, জাল বুনন, বাটুল খেলা, গুড্ডির মেলা, লাঠি খেলা, পিচ্ছিল বাঁশে উঠাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মমিনুল হক, শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যাক্ষ গোলাম মর্তুজা মিঠু, বড়বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী মোল্লা, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাষ্টার প্রমুখ উপস্থিথ ছিলেন।

Friday, April 14, 2017

3:38 PM

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে লালমনিরহাটে বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ পালিত হচ্ছে

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে লালমনিরহাটের বড়বাড়িতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ পালিত হচ্ছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ৮টায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন পরিষদ বড়বাড়ী,লালমনিরহাট এর আয়োজনে বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপি সভাপতি আসাদুল হাবীব দুলূ এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যাণ একেএম মমিনুল হক,  শোভাযাত্রাটি বড়বাড়ীড় প্রধান সড়ক হয়ে বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়  মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পান্তা পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বাংলা নববর্ষ উদযাপন পরিষদের  আয়োজনে  দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হয়। কর্মসুচির মধ্যে আছে ঘোড়া খেলা, ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগীতা,বাঁশেঊঠা সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
9:01 AM

শুভ বাংলা নববর্ষ-১৪২৪

 -সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। চলুন দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাই । ১৪২৪ সাল হোক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার বছর।কোটি বাঙালীর অর্জিত স্বাধীনতা সমুন্নত থাক। সকল অনিশ্চিয়তা ,অস্থিতিশীলতা দূর হোক। আমরা বাঙালী বাংলাদেশীরা সত্যিকার অর্থে মানুষ হই। পরস্পরকে শ্রদ্ধা করতে শিখি।  সকল ধর্ম বর্ণ গোত্রের মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে সকল বিভেদ  মাটি চাপা দিয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ি।গত বছরের ব্যর্থতা গুলো এবছর সফলতা পাক।নতুন নতুন আনন্দ আর গানে ভরে উঠুক সবার জীবন। 
শুভ নববর্ষ ১৪২৪ TODAY BLOG
 

Thursday, April 13, 2017

12:56 AM

খালেদা জিয়ার জরুরি সংবাদ সম্মেলন

ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় এসে তাদের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারতের তৎকালীন সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে ন্যক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করে। এখনও আওয়ামী বলয়ের শাসন ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার ক্ষেত্রে তারা সরাসরি সহায়তা করছে এবং তাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনেই এদেশের জনবিচ্ছিন্ন সরকার ক্ষমতায় টিকে রয়েছে - See more at: https://www.dailyinqilab.com/article/74626/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8-:--%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F#sthash.ruNSSM7B.dpuf

ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় এসে তাদের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারতের তৎকালীন সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে ন্যক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করে। এখনও আওয়ামী বলয়ের শাসন ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার ক্ষেত্রে তারা সরাসরি সহায়তা করছে এবং তাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনেই এদেশের জনবিচ্ছিন্ন সরকার ক্ষমতায় টিকে রয়েছে - See more at: https://www.dailyinqilab.com/article/74626/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8-:--%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F#sthash.ruNSSM7B.dpuf
ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় এসে তাদের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারতের তৎকালীন সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে ন্যক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করে। এখনও আওয়ামী বলয়ের শাসন ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার ক্ষেত্রে তারা সরাসরি সহায়তা করছে এবং তাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনেই এদেশের জনবিচ্ছিন্ন সরকার ক্ষমতায় টিকে রয়েছে - See more at: https://www.dailyinqilab.com/article/74626/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%A8-:--%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F#sthash.ruNSSM7B.dpuf
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ভাষণ : বেগম খালেদা জিয়া


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম।
আজ আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে সুনির্দিষ্ট কিছু কথা খুব স্পষ্ট করে নিবেদন করতে চাই। আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনা গত সাত থেকে দশ এপ্রিল ভারত সফর করে ফিরে এসেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সফরের উপর তিনি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। সফরকালে বাংলাদেশের জনগণকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে দু’দেশের মধ্যে অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সেগুলোর বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।
এই সফরের আগে থেকেই দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও যথেষ্ঠ উদ্বিগ্ন ও শংকিত ছিলাম। কারণ প্রস্তাবিত চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে সফরের আগেও রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি এবং কারো মতামত নেয়া হয়নি। তাদের একতরফা কথিত পার্লামেন্টেও কোনো আলোচনা হয়নি। এই গোপনীয়তার কারণে সকলের মধ্যে যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছিলো সফরের পর তা যথার্থ প্রমানিত হয়েছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা, গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্প, সীমান্ত হত্যা বন্ধ এবং বাংলাদেশী রফতানি-পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করার মতো বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোতে এই সফরে কোনোই অগ্রগতি হয়নি।
জনগণের দাবি সত্বেও আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের সুন্দরবন-বিনাশী এবং পরিবেশ বিধ্বংসী রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের স্থান পরিবর্তনের জন্য তিনি একটি কথাও বলেননি। বরং প্রধানমন্ত্রীকে কতগুলো আশ্বাস নিয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, অতীতের ধারাবাহিকতায় ভারতের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ও প্রস্তাবিত বিষয়গুলোতেই কেবল অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা সই করা হয়েছে। এই সফরকে দেশবাসী কেবলই দেওয়ার এবং কোনো কিছুই না পাবার এক চরম ব্যর্থ সফর বলেই মনে করে।

সাংবাদিক বন্ধুগণ,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলÑবিএনপি দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণের সমর্থনপুষ্ট জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। নানাভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, এদেশের জাতীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিএনপিই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই দেশজাতির বর্তমান ও ভবিষ্যত স্বার্থ জড়িত রয়েছে এমন কোনো বিষয়ে বিএনপি নীরব থাকতে পারে না। আপনারা জানেন, বর্তমান সরকার সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দেশে নির্বাচনের নামে একটি প্রহসন করেছিল। এর আগেই জাতীয় সংসদের অর্ধেকের বেশি ১শ’ ৫৪টি আসনের প্রার্থীদেরকে কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। বাদবাকী আসনগুলোতেও বিএনপিসহ উল্লেখযোগ্য কোনো বিরোধী দলই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও এই প্রহসনে শামিল হননি। শুধু তাই নয়, আমাদের ডাকে ভোটাররাও একতরফা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন সেই নির্বাচনী প্রহসন ব্যাপকভাবে বর্জন করেন। অনুগত নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের যোগসাজসে ব্যাপকভাবে জালভোট দিয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে দেখানো হলেও আপনারা নিজেদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় জানেন যে, শতকরা ৫ ভাগ ভোটারও ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হননি।
অনেক কেন্দ্রে ভোট প্রদানের হার ছিল শূণ্য। এমন প্রহসনের মাধ্যমে নির্বাচিত বলে ঘোষিত সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত সংসদে কার্যকর কোনো বিরোধী দলের অস্তিত্বও নেই। ফলে দেশে বলবৎ রয়েছে জবাবদিহিতাহীন একতরফা স্বৈরশাসন। এতবড় প্রহসন ও জালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত সরকারের নৈতিক কোনো ভিত্তি ও গ্রহনযোগ্যতা থাকে না। জনগণের সম্মতি ও প্রতিনিধিত্বহীন এ ধরণের সরকারের জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহনের এখতিয়ার ও অধিকারও থাকে না।

উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ,
দেশের সচেতন নাগরিক ও বিশ্ববাসীর সঙ্গে আপনারাও দেখেছেন যে, সেই কলঙ্কিত ও প্রহসনের নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের তদানীন্তন সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে খুবই ন্যক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করেছিল। ভারতের তদানীন্তন বিদেশ সচিব বাংলাদেশ সফরে এসে ক্ষমতাসীনদের প্রহসনের নির্বাচনের নীল-নকশা বাস্তবায়নে প্রকাশ্যে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তা কারো অজানা নয়। সে কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে, নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ভারতের বিগত সরকারই আওয়ামী বলয়ের শাসন ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার ক্ষেত্রে সরাসরি সহায়তা করেছে এবং তাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনেই এদেশের জনবিচ্ছিন্ন সরকার ক্ষমতায় টিকে রয়েছে।
এদেশের জনগণ আরো মনে করেন যে, বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি বা সমঝোতার ক্ষেত্রেই জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারেনি বা করেনি। তারা কেবল কৃতজ্ঞতার ঋণই ক্রমাগত শোধ করে চলেছে। এতে বিসর্জন দেয়া হচ্ছে জাতীয় স্বার্থ ও মর্যাদা। খর্ব হয়েছে আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব। শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সফরে তিনি তৃপ্ত। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই সফরের ফলাফলে তৃপ্ত তো নয়ই বরং আতঙ্কিত। তারা জাতীয় স্বার্থবিরোধী একগাদা চুক্তি ও সমঝোতা চায়নি। হিসাবের পাওনা চেয়েছে।

সাংবাদিক ভাই-বোনেরা,
এই সফরে প্রতিরক্ষা বিষয়ক কোনো চুক্তি ও সমঝোতা সই না করার ব্যাপারে সফরের আগেই বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুধীসমাজ ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ প্রকাশ্যেই তাদের মতামত জোরালোভাবে ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে একটি জাতীয় ঐক্যমত গড়ে উঠেছিলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকদের মতামতের প্রতিধ্বনি করে আমরাও এ ধরনের কোনো চুক্তি স্বাক্ষর না করার দাবি জানিয়েছিলাম। তা সত্বেও জনসাধারণের মতামতকে উপেক্ষা করে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। এর সুদূরপ্রসারী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমরাও শংকিত।
বিএনপি দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার কায়েমের জন্য গুম, খুন, নির্যাতন, জেল, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়েও সাধ্যমতো আন্দোলন চালিয়ে আসছে। অনেক বিষয়েই ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব রয়েছে। তা সত্বেও জাতীয় স্বার্থ, মর্যাদা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রথা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার বিষয়ে আমরা সকলে মিলে একটি অভিন্ন অবস্থান গ্রহণের পক্ষে। ভারত সফরকালে শেখ হাসিনা এসব বিষয় সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ় ভূমিকা পালন করলে আমরা অকুণ্ঠ চিত্তে তার সেই ভূমিকার প্রতি সমর্থন জানাতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি তা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। বরং তিনি বাংলাদেশকে ভারতের সামরিক পরিকল্পনার অংশ করে এসেছেন।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। অগণিত প্রাণদান ও ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতার কথা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। সেই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে অর্থনীতি, বাণিজ্য, পানিসম্পদ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাবলীর নিরসনের নীতিতে আমরা বিশ্বাসী। ভারতের জনগণের সঙ্গে শান্তি ও সহযোগিতার আবহে আমরা পাশাপাশি বাস করতে চাই। কিন্তু একটি গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া সত্বেও প্রতিবেশী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ব্যাহত করতে ভারতের বিগত শাসকদের একতরফা ভূমিকায় বাংলাদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ।
আমরা আশা করি ভারতের বর্তমান সরকার অতীতের সেই ভুল থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের মনোভাবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন। গণবিচ্ছিন্ন কোনো পক্ষের সঙ্গে কোনো চুক্তি করা বা চাপিয়ে দেয়াই বড় কথা নয়। মানুষের সমর্থন ছাড়া কোনো সমঝোতা বা চুক্তিই যে কেবল গায়ের জোরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, তার প্রমাণ নিকট ইতিহাসেই রয়েছে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘শান্তিচুক্তি’ নামে স্বাক্ষরিত ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তি সরকার পরিবর্তনের পর দীর্ঘকাল যে একটি কাগুজে দলিলে পর্যবসিত হয়েছিল তা আমরা সকলেই দেখেছি। তাই জাতিকে অন্ধকারে রেখে, জনগণের মতামত যাচাই না করে দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতা করে অবিশ্বাস আরো ঘণীভূত করা হয়েছে বলেই আমরা মনে করি।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
ভাটির দেশ হিসাবে সকল আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদের অধিকার। এটা কারো কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য বা করুণার বিষয় নয়। তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টি দুই সার্বভৌম দেশের মধ্যকার বিষয়। এ জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকেই বিষয়টি ফয়সালা করতে হবে। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দুই দেশের মধ্যেকার আলোচনায় সংশ্লিষ্ট করায় বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে।
প্রতিরক্ষা খাতে দেওয়া ৫০ কোটি ডলারের সহায়তার আওতায় ভারত কোন্ ধরনের সমরাস্ত্র সরবরাহ করবে জানতে চাওয়া হলে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেছেন যে, এখনও এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি, তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পছন্দকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এ থেকেই বোঝা যায় যে, শেখ হাসিনা যাই বলুন না কেন একমাত্র ভারতই হবে ওই ঋণের আওতায় একমাত্র অস্ত্র সরবরাহকারী।
এই সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যে ভাবে ভারতের সম্পর্ক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছে তার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস, কারিকুলাম ও অন্যান্য স্পর্শকাতর বিষয়াদি অযাচিত হস্তক্ষেপের মুখে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে আরো লক্ষ্য করেছি যে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করার জন্য যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলো দূর করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপই গ্রহন করা হয়নি।
পাট রফতানির ক্ষেত্রে ভারত যে এন্টি-ডাম্পিং ক্লজ প্রয়োগ করে থাকে তা তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও এই সফরে প্রধানমন্ত্রী কিছুই করতে পারেননি। সফর শেষে প্রকাশিত দু’দেশের যৌথ ইশতেহারে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার কথা বলা হলেও এই প্রতিশ্রুতি অতীতের মতোই অন্ত:সারশূন্য হয়ে থাকবে বলে দেশবাসীর মতো আমাদেরও আশঙ্কা। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্পের ব্যাপারে ভারতের সম্মতি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনা এখন এই প্রকল্পের উপযোগিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। এখন আরো পিছিয়ে গিয়ে প্রকল্পটির স্থান পরিবর্তন এবং নতুন করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ভারতীয় প্রস্তাব তিনি মেনে নিয়েছেন।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা,
দেশে জনসমর্থিত ও গণতান্ত্রিক কোনো সরকার না থাকলে তাদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে জাতীয় স্বার্থ আদায় করে আনা সম্ভব নয়। সে কারণেই বর্তমান প্রশ্নবিদ্ধ সরকার যতই বন্ধুত্বের বুলি আওড়াক না কেন, প্রতিবেশী ভারতের কাছ থেকেও সমমর্যাদার ভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থ আদায় করতে তারা পারেনি, পারবেও না। তাই দেশবাসী বিষ্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে, গতকালের সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি দিল্লিতে কিছু চাইতে যাননি।
কেবল বন্ধুত্বের জন্য গিয়েছিলেন এবং সেটা তিনি পেয়েছেন। কিসের এই বায়বীয় বন্ধুত্ব তা দেশবাসীই বিচার করে দেখবেন। তবে এই কথার মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রকারান্তরে মেনে নিয়েছেন যে, ভারত থেকে তিনি দেশের জন্য কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি। বরং ভারতের চাহিদা মোতাবেক সবকিছুই দিয়ে এসেছেন।
চুক্তি ও সমঝোতাগুলো প্রকাশ করার বদলে তিনি তার নিজের উপর আস্থা রাখতে বলেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তার উপর আস্থা রেখে দেশবাসী আজ পর্যন্ত কোনো কিছুই অর্জন করতে পারেনি। বরং ভোট দেয়ার অধিকারসহ বিভিন্ন অধিকার হারিয়েছে। তার ওপর আস্থা রেখে অতীতে জনগণ দেখেছে তিনি একের পর এক জাতীয় স্বার্থবিরোধী অসংখ্য চুক্তি করেছেন। ভারতকে একতরফাভাবে কেবল দিয়েই এসেছেন। বিনিময়ে কিছুই আনতে পারেননি।
এবারেও জনগণ চরম হতাশা ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করলো যে, নিরাপত্তা সহযোগিতা, অস্ত্র ক্রয়, লাইন অব ক্রেডিট ঋণ, পারমাণবিক প্রকল্পে সহযোগিতা, ডিজেল ও বিদ্যুৎ আমদানি, কানেকটিভিটি বৃদ্ধি, মহাকাশ সহযোগিতা ও সাইবার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি যে সব চুক্তি ও সমঝোতায় সই করেছেন তাতে বাংলাদেশের ওপর ভারতের সামরিক, রাজনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যই কেবল বাড়বে। শেখ হাসিনা তার সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে তার এবং তাদের সরকারের যেসব সাফল্য দাবী করেছেন সেগুলোর বেশির ভাগই অসত্য ও একতরফা। সরকার একটি ধারাবাহিকতা।
আমাদের সরকারের কিছু উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে তিনি সেগুলো বাস্তবায়নের একতরফা সাফল্য দাবি করেছেন। প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে শহীদ জিয়াউর রহমান এবং আমাদের সরকার কী কী করেছে তা দেশবাসী জানেন। শহীদ জিয়াই অবজ্ঞা ও অবহেলার ইতিহাস মুছে দিয়ে সশস্ত্রবাহিনীকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন এবং এর মর্যাদা ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনিই সশস্ত্রবাহিনীকে আধুনিক করে গড়ে তুলেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতাই বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী বিশ্বে এক গৌরবময় অবস্থান অর্জন করেছে। মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে এই সত্যকে কখনো ম্লান করা যাবে না।
আমাদের সশস্ত্রবাহিনী এখন বিভিন্ন দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক উচ্চমান অর্জন করেছে। কোনো অস্ত্র আমদানিকারক দেশ থেকে এই বাহিনীর জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করলে সেই মানের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো দেশের সম্পৃক্ততার ফলে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত মান ও স্বাতন্ত্র্য সমঝোতার নামে ব্যাহত হতে পারে বলেও সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।
দেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতিকে এক্সপ্লয়েট করার জন্য শেখ হাসিনা ভারত সফরের আগে আলেম সম্মেলন করেন। ফিরে এসে গতকালই আবার হেফাজতে ইসলাম প্রভাবিত কওমী মাদ্রাসার ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলেমদের সঙ্গে তার অতীত আচরণ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর ক্রমাগত আঘাতের কথা দেশবাসী নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি।
এখন তিনি নিজেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। অতীতেও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার লক্ষ্যে দেশে ইসলামী শরিয়তী আইন চালুর জন্য একই ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। এখন কওমী মাদ্রাসা সনদকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা বলে ধোঁকা দিচ্ছেন।
আমাদের সরকার দায়িত্বে থাকার সময় মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করা হয়েছিলো। ২০০৬ সালে কওমী মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি আমাদের সরকার দিয়েছিল। সেটা গেজেট নোটিফিকেশনও হয়েছিল। পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা কার্যকর হয়। গত ১১ বছরে মাদ্রাসা-বিরোধী সরকারগুলোর নেতিবাচক মনোভাবের কারণে বিষয়টি আর এগুতে পারেনি।
শেখ হাসিনা গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বিদেশীরা এদেশে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে চক্রান্ত করেছিল বলে আবারো সম্পূর্ণ অসত্য অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে কিন্তু কোনো প্রভু নেই। বিদেশী চক্রান্তে নয়, জনগণের ভোটেই বিএনপি সবসময় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। বরং আওয়ামী লীগই ভোট ছাড়া বিদেশী মদত নিয়ে ক্ষমতায় আসার খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
শেখ হাসিনার অভিযোগের জবাবে আমি বলতে চাই, সশস্ত্রবাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থে বিএনপি কখনো ব্যবহার করেনি। তারাই করেছেন। তারা সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের বাধ্যতামূলকভাবে একমাত্র রাজনৈতিক দল বাকশাল-এর অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন। জেনারেল এরশাদ ও মঈনের ক্ষমতা দখল এবং জেনারেল নাসিমের সামরিক অভ্যূত্থান প্রচেষ্টায় তারাই প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছিলেন। কাজেই নিজেদের অপরাধ অন্যের কাঁধে চাপিয়ে তারা পার পাবেন না।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভারত সফরকালে শেখ হাসিনাকে কে স্বাগত জানালো, কোথায় রাখা হলো, কেমন সংবর্ধনা দেওয়া হলো, তার এবং তার পিতার কী কী প্রশংসা করা হলো তাতেই বাংলাদেশের জনগণ খুশি নয়। বাংলাদেশের মানুষ আপ্যায়নের চাইতে তাদের ন্যায্য পাওনা কী এসেছে সেটা জানতে চায়। সেটা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকের সংখ্যা ও বন্ধুত্বের কথামালার উপর নির্ভর করে না।
দুর্ভাগ্যের বিষয় এইসব জমকালো আনুষ্ঠানিকতার আড়ালে বাংলাদেশ যে বঞ্চিত ছিলো সেই বঞ্চিতই থেকে গেলো। বাংলাদেশ আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো। দু’দেশের যৌথ ইশতেহারে যে গণতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশে এখন সেই গণতন্ত্র নেই। জনগণের কোনো অধিকার নেই। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নেই। জনগণ তাদের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পাবার জন্য সংগ্রাম করছে। গণতান্ত্রিক ভারতের অবস্থান সেই গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে থাকবে সেটাই সকলের প্রত্যাশা। তাহলেই দু’দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আরো দৃঢ় ও ফলপ্রসূ হবে।
আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
12:29 AM

পয়লা বৈশাখ উদযাপনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ

আবহমানকাল থেকে এ দেশে পয়লা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে আসছে । সেই আঙ্গিকে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বাংলা নববর্ষ ‘পয়লা বৈশাখ’ ১৪২৪ বাঙালির সার্বজনীন উৎসব উদযাপনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

Tuesday, April 11, 2017

8:08 AM

আমার সন্তানের বাবা শাকিব :বললেন অপু বিশ্বাস

জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁর একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। সেই সন্তানের বাবা বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান।
সোমবার বিকেলে অপু বিশ্বাস একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন।
অপু বলেন, ‘শাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। বিয়ের সময় আমার নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। আমার নাম রাখা হয়েছিল অপু ইসলাম খান। বিয়ের সময় শাকিবের ভাই ও একজন প্রযোজক উপস্থিত ছিলেন।’
‘বাচ্চা নিয়ে আমাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমি দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলাম। পাঁচ মাস হয় ঢাকায় এসেছি। দীর্ঘ নয় মাস আমি কলকাতা, ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে ছিলাম’, বলেন অপু বিশ্বাস।
আধঘণ্টার বেশি সরাসরি সম্প্রচারিত ওই অনুষ্ঠানে কথা বলতে বলতে প্রায় কেঁদে ফেলেন অপু বিশ্বাস। এ সময় মাঝেমধ্যে টিস্যু দিয়ে তাঁকে চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে।
অপু বিশ্বাস জানান, ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর ছেলের জন্ম হয়। নাম রাখা হয়েছে আব্রাহাম খান জয়। তিনি বলেন, ‘শাকিব যদি এই অনুষ্ঠান দেখে থাকে তবে ওর (শাকিবের) দায়িত্ব হবে দূর থেকে ওকে (ছেলেকে) আদর করে দেওয়া। বাবা হয়ে আমার ছেলেকে যেন না ঠকায়।’
অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘ছেলের হাত-পা বাবার (শাকিবের) মতোই হয়েছে। আমার ছেলের দ্বারা যেন কোনো মেয়ে প্রতারিত না হয়, আমি সে চেষ্টাই করব।’
বাচ্চাকে নিয়ে আপনি নিরাপদ কি না- উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বলতে পারছি না আমার কী হবে।’
অপু বলেন, ‘ও (শাকিব) তো কাউকে বাবা বলে ডাকে। বাবা হয়ে যেন আমার ছেলেকে না ঠকায়। তাদের আশপাশে তো অনেক লোক আছে, তারাও তো বাবা। তারাও তো তাদের সন্তানদের আদর করে। আমি কী অন্যায় করেছি, যার জন্য এত শাস্তি পেতে হলো?’


Wednesday, April 05, 2017

1:35 AM

প্রথম টি-২০তে বাংলাদেশের হার ৬ উইকেটে

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মাঠে নামার কথা ছিল দুই দলের। তবে, দুই দলের জাতীয় সংগীতের পর পরই বৃষ্টি নামে কলম্বোয়। তাতে ম্যাচ শুরুতে বিলম্ব হয়। তবে, কোনো ওভার কাটা হয়নি। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তে টাইগারদের হয়ে ওপেনিং করতে নামেন তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন তামিম। লাসিথ মালিঙ্গা দ্বিতীয় বলেই বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন তামিমকে। প্রথম ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৬ রান তোলে বাংলাদেশ।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই রান আউট হন সাব্বির রহমান (১৬)। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সৌম্য। ব্যক্তিগত ২৯ রানে বিদায় নেন তিনি। ২০ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ইনিংস সাজিয়ে ভিকুম সঞ্জয়ার বলে পেরেরার তালুবন্দি হন সৌম্য। দলীয় ৫৭ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নমব ওভারের দ্বিতীয় বলে আসেলা গুনারন্তের ডেলিভারিতে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ৯ বলে এক চারে ৮ রান করেন তিনি।
দলীয় দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে আউট হন সাকিব আল হাসান। সেকেগু প্রশন্নর বলে গুনারত্নেকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৫ বলে ১১ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ১৯তম ওভারে মালিঙ্গার প্রথম বলেই বোল্ড হন মাহমুদল্লাহ রিয়াদ। ২৬ বলে তিন চারে ৩১ রান করেন তিনি। ৩০ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
১৫৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করে শ্রীলঙ্কা। তবে নিজের পর পর দুই ওভারে দুটি উইকেট তুলে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। উপল থারাঙ্গাকে ২৪ রানে মোস্তাফিজের ক্যাচ ও দিলশান মুনাবেরাকে ৮ রানে নিজেরই ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে সাব্বির রহমানের থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন আসেলা গুনারত্নে। তিনি ১৮ বলে ১৭ রান করেন। সর্বোচ্চ ৭৭ রান করা ওপেনার কুশাল পেরেরাকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৫৩ বলে ৯ চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। শেষ দিকে প্রশন্ন ২২ ও থিসারা পেরেরা ৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
1:14 AM

টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বললেন মাশরাফি

সবাইকে চমকে দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা  জানিয়ে দিলেন, এটিই তার ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ!
বাংলাদেশ টিম কে টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য অনেক গর্বের। আমি বিশ্বাস করি বর্তমান দলটি একটি ভাল দল এবং দলে কিছু উদীয়মান খেলোয়াড় আছে। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য এবং আমাকে এত চমৎকার দলের নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ। আমি আমার সকল ভক্ত, পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমাকে সবসময় সমর্থন করার জন্য। এই সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে উত্থান এবং পতন ছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি আমার ফ্যানদের কে খুশি করার। আমি আমার প্রত্যেক ফ্যান এর কাছে তাদের কে প্রতি ম্যাচে খুশি করতে না পারার জন্য ক্ষমা চাইছি। এই মুহূর্তে দল হিসেবে আমরা ভাল খেলছি। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ সামনের দিনগুলো তেও ভাল ক্রিকেট খেলবে।
আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়ার জন্য এটাই আমার উপযুক্ত সময় যাতে অনেক তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটার তাদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারে এবং বিসিবি তাদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারে। আমি বাংলাদেশ এর টি-টোয়েন্টি টিম এর নতুন অধিনায়ক কে আগাম অভিনন্দন জানাই এবং আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা সময় সামনে আসবে।
শীঘ্রই আবার দেখা হবে। সকলের জন্য আমার আন্তরিক ভালবাসা।

Tuesday, April 04, 2017

8:40 AM

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি শুরু হচ্ছে আজ।

আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দু’দল। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। ৬ এপ্রিল দ্বিতীয় টি-২০। এর আগে টেস্টের (দুই ম্যাচ) পর তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজও শেষ হয় ১-১ সমতায় (দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত)।
বাংলাদেশের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জও বটে। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ওয়ানডে সিরিজ বাঁচিয়ে ছন্দে ফেরে লঙ্কানরা। সে যাই হোক, ভিন্ন ফরমেটে ইতিবাচক ফলাফলে চোখ ‍রাখছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পাঁচবারের দেখায় চারটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা। পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ শিবিরে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে সবশেষ ম্যাচের জয়/
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম থেকে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল নাইন, টেন স্পোর্টস, টেন-৩ ও টেন-১ এইচডি।